মণিরামপুর প্রতিনিধি: যশোরের মণিরামপুরের ভাই ভাই গোল্ডেন ফিস” মাছের আড়ৎ এর ম্যানেজার মো: জসিম উদ্দিনের খুনীদের মধ্যে দুইজনকে আটক করেছে যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা।
আটককৃত নাসির হোসেন (৩০), বারান্দী মোল্লাপাড়ার লাল মিয়ার ছেলে ও বেজপাড়া আনছার ক্যাম্প এলাকার আশরাফ আলীর ছেলে  জাহিদ ওরফে ডুবার। অভিযানকালে তাদের কাছ থেকে হত্যা কাজে ব্যবহৃত ২টা চাকু, মোটরসাইকেল ১টা ও ১টা মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
যশোর জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের  নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি রুপন কুমার সরকারের তত্বাবধানে ডিবির এলআইসি টিম এই গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করে।
নিজের কাজকর্ম শেষ করে ব্যাক্তিগত প্রয়োজনে যশোর শহরের যান, সেখান থেকে ফেরার পথে যশোর-খুলনা  মহাসড়ক সংলগ্ন কোল্ড স্টোরেজ মোড় সাব্বির ফ্লাওয়ার মিলের বিপরীত দিকে পাঁকা রাস্তার উপর পৌঁছাইলে তার মোটরসাইকেল গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি চুরিকাঘাতে তাকে আহত করে এবং সে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে।
উল্লেখ্য যে, গত  ২৬ জুন জসিম উদ্দিন  মনিরামপুর থানাধীন মনিরামপুর বাজারে ” ভাই ভাই গোল্ডেন ফিস” মাছের আড়ৎ এর ম্যানেজারের কাজ  কর্ম শেষ করে ব্যাক্তিগত প্রয়োজনে সন্ধ্যায় মনিরামপুর হতে যশোরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে কিছুক্ষণ পর যশোর শহরস্থ ব্যাটারী পট্টি নামক স্থানে ফোনের মাধ্যমে একজন অজ্ঞাতনামা মেয়েকে ডেকে তাকে বিভিন্ন ফলমূল কিনে দিয়ে মনিরামপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়াস্থ  যশোর-খুলনা মহাসড়ক সংলগ্ন কোল্ড স্টোরেজ মোড়ের সাব্বির ফ্লাওয়ার মিলের বিপরীত দিকে পাঁকা রাস্তার উপর পৌঁছাইলে অজ্ঞাতনামা ০৩জন আসামী হিরোহাংক মোটরসাইকেল নিয়ে জসিমের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে, মোটরসাইকেল হতে নামাইয়া চাকু দ্বারা এলোপাতাড়ি কুপাইয়া রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল যশোরে চিকিৎসার জন্যে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
এরপর জসিমের বাবার এজাহারের প্রেক্ষিতে কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং-১০২, তাং-২৭/০৬/২৩ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। মামলাটি কোতয়ালী মডেল থানার এসআই(নিঃ) শরীফ আল মামুন তদন্ত করেন।
আটককৃত আসামিদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় ঘটনায় জড়িত পলাতক আসামী ইব্রাহিমের খালা আনোয়ারা বেগম আনু এর সাথে জসিম এর পরকীয়া প্রেম ছিল এবং ৪০ হাজার টাকা চুক্তিতে আসামীরা এই হত্যাকান্ড সংঘটিত করে।